কিডনি রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খাবার। আর খাবারের সাথে সম্পর্কিত হলো কিডনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আপনি কিভাবে খাবার গ্রহণ করেন আর কতটুকু পরিমাণ গ্রহণ করেন তার উপর নির্ভর করে কিডনির সুস্থতা। এই বইতে আমরা কিডনি সচেতন যেকোন ব্যক্তি বা কিডনি রোগে আক্রান্ত যেকোন ব্যাক্তি সত্তিকার অর্থেই কী খাওয়া উচিত আর কী বর্জন করা উচিত এবং কতটুকু পরিমাণ খাওয়া উচিত সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, প্রতি ১০০ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৯০ জন জানেই না যে তারা কিডনি রোগে আক্রান্ত। আর যখন জানে তখন অলরেডি অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায় যেটার চিকিৎসা আসলেই ব্যয়বহুল। আমরা সবাই একটা বিষয়ে একমত যে আমাদের সুস্থভাবে বেচে থাকতে হবে পাশপাশি দৈনন্দিন কাজ ও চালিয়ে যেতে হবে যেমন চাকরী, ফ্যামিলি সব কিছু। আর এশিয়ার মধ্যে সমস্যা হলো পরিবারের একজন ব্যক্তির উপর অনেকেই নির্ভরশীল। তাই সব মিলিয়ে আপনি তো সারাদিন অর্থের পেছনে ছুটছেন কিন্তু এই দিকে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে কোন চিন্তাই নেই। এক সময় যখন অসুস্থ হয়ে গেলেন তখন তো অনেক দেরি হয়ে গেছে। একদিকে ফ্যামিলি বিপন্ন হওয়ার পথে অন্যদিকে চিকিৎসার ব্যয় মেটানোর যন্ত্রনায় হাহাকার! আমার এই বইটি মুলত আপনাকে এসব জায়গা গুলোতেই সাহায্য করবে। শুধু তাই ই না যারা আগে থেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা কিভাবে সুস্থ থাকবেন, সমস্যা অনুযায়ী কিভাবে নিজের অবস্থা পরিমাপ করবেন, কী খাবেন আর কী খাবেন না, কী করবেন আর কী করবেন না এসব কিছু বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদম পরীক্ষামুলত পদ্ধতীতে ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রন করার উপায়গুলো এই বইয়ে পেয়ে যাবেন।
আমাদের ই-বুকে প্রমাণিত অনেক কৌশল রয়েছে যা আপনাকে পটাসিয়ামের সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিশ্চিত ভাবে সাহায্য করবে।
CKD রোগীদের দারা প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীর উত্তর এবং নতুন কোন সমস্যা তৈরি হলে অস্থির না হয়ে কিভাবে সমাধান করতে হবে এসব নিয়ে গাইডলাইন।
রেনাল রোগীদের জন্য কিভাবে রান্না করতে হবে এবং কিসের সাথে কী দিয়ে রান্না করা যায় এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
চাল দ্বারা প্রস্তুতকৃত খাবার যা সাধারণত আমরা সবাই খেতে পারি সেরকম খাবার কিডনি রোগী কিভাবে খাবেন তা সম্পর্কে ধারণা
আমাদের কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বা খারাপ ডেসার্ট এবং এদের প্রভাব সম্পর্কে এই বইতে জানতে পারবেন।
প্রাত্যহিক জীবনের নাস্তা সকাল, বিকেল কিভাবে খাবেন, কী খাবেন এবং কতটুকু খাবেন এসব সম্পর্কে ধারণা
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে মূল পর্বের কিছু রন্ধন প্রণালী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
“এই বইটি আসলেই লাইফ ছেঞ্জিং। আমি আগে ভাবতাম যে নিয়মিত ট্রিটমেন্ট নিলে এবং ওষধ সেবন করলে মনে হয় আজীবন সুস্থ থাকবো। কিন্তু এই বইটি পড়ার পর আমি একটা বিষয় উপলব্ধী করেছি যে আমরা যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চলাফেরা, খাদ্যাভাস এবং লাইফস্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসা। এতে করে স্বল্প সময়ে প্রতিরোধের কথা না ভেবে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিকার পাওয়া যাবে। আমি নিশিচত ভাবে বলতে পারি যে এই বইটি একজন কিডনি রোগী হিসেবে আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এছাডাও যারা কিডনি রোগী না তাদের জন্য ও অনেক উপকারে আসবে আগে থেকে সচেতন থাকার জন্য।”
Mritika Dutta
দীর্ঘ সময় ধরে আমি বিশেষ করে ভারতবর্ষ এবং পুরো পৃথিবী জুড়ে কিডনি প্রতিস্থাপন সহ কিডনি সম্পর্কিত চিকিৎসা দিয়ে আসছি। আমার কাছে আসা সকল রোগীদের তিনটা প্রশ্ন সব সময় একই রকমের হয়ে থাকে যে, “ডাক্তার বাবু আমার লাইফস্টাইল কেমন হওয়া উচিত? কী ধরনের খাবার কী পরিমাণ গ্রহণ করা উচিত এবং সামনের সময়ে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে আমার কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?” প্রতিদিন এতো এতো রোগীকে একজন একজন করে এই তিনটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আসলেই খুব চ্যালেঞ্জিং এবং সময় সাপেক্ষ। আপনারাই বলুন তাই নয় কী? কারন খাবারের ব্যাপারে উত্তর দিলে খাবার তো আর একটা নয়, লাইফস্টাইলের ব্যাপারে উত্তর দিলে শুধু তো ঘুম বা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের উত্তর দিয়ে শেষ নয়। এসব নিয়ে কথা বলার বাস্তবিক অর্থে কোন শেষ নাই। সব থেকে বড় কথা হলো আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও রোগীদের পক্ষে এতো বিষয় এক সাথে মনে রাখা সম্ভব হয় না। মুলত এই সমস্যা থেকেই আমার বই তৈরি করার বিষয়টি মাথায় আসে। কিডনি এবং এর রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সঠিক জ্ঞান যে এই মরনব্যাধী রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ তা মাথায় রেখে আমার অর্জিত অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার ধারণা নিয়েই এই বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই বইয়ের মূল কথা হলো কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক জীবনধারা, ব্যবস্থাপনা এবং যথাযথ খাবারের নিয়ম মানার মাধ্যমে এর অগ্রগতি রোধ করা যাতে একজন ব্যক্তি কিডনি রোগ এড়াতে পারে অথবা এই রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত হলে যেন যথাযত প্রতিরোধ গড়ে তুলে সুস্থ থাকতে পারে। সত্যিকার অর্থেই আমি মনে করি এই বইটি সবার জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ।
যাবে যদি আপনি ইন্ডিয়ান হোন। আর বাংলাদেশী হলে শুধুমাত্র পিডিএফ নিতে পারবেন।
হার্ড কপি শুধু ইন্ডিয়াতে পাওয়া যাবে। আপনি পেতে সময় লাগবে ২-৩ দিন।
আমাদের ওয়েবসাইটে